জমে উঠেছে যশোর জেলা ঝিকরগাছা উপজেলার, ৭নং নাভারণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণা।

বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বুলি এবং বিএনপি জামাত সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বুলি কে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী। অন্যদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মত যোগ্য প্রার্থী নেই বলে দাবি এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।

সেই কারণে শিক্ষিত, কর্মীবান্ধব, তৃণমূল কর্মীদের নিবেদিতপ্রাণ, সদালাপী ও চেয়ারম্যানের যোগ্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বুলিকে নৌকা প্রতীকে দেখতে চায় এলাকাবাসী।

সরজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, এবার নৌকার মাঝি হিসেবে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বুলি উপযুক্ত। তাই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে, বিভিন্ন এলাকার তৃনমূল আওয়ামী লীগ ও কর্মীদের একটাই কথা তদন্ত সাপেক্ষে ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে যেন এবারের মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলেন‘ বর্তমানে নাভারণ ইউনিয়নে যোগ্য চেয়ারম্যান নেতৃত্বের শুন্যতা বিরাজ করছে। তাই আমরা যোগ্য প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বুলিকে নৌকার মাঝি ও চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।

সেই সাথে আরো বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত হলেও কার্যক্রমে বিতর্কিত ও তৃণমূল মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না, তাই মানুষ নতুন করে ভাবছে, এবং সেই নতুন টা হলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বুলি।’

রফিকুল ইসলাম বুলি নাভারন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক।ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামীলীগার আব্দুল মালেকের ছেলে বুলির জন্ম ১৯৭১ সালে।বুলি বঙ্গমাতার নামে প্রতিষ্ঠিত নাভারন ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক। ছাত্রাবস্থায় ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার সময় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন।২০০১থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত নাভারন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।

২০০৭থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নাভারন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।২০১৪ থেকে নাভারন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।এছাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতি করতে এসে হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে।

ইউনিয়নের সাধারন মানুষের ভাষ্য করোনাকালীন সময় ও তীব্র শীতে ইউনিয়নের সাধারন মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন রফিকুল ইসলাম বুলি।রাতের আধারে গোপনে পৌছে দিয়েছেন খাদ্য ও শীতবস্ত্র। এসব সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের যেকোন সুবিধা অসুবিধায় সব সময় পাশে থাকে বুলি।কলেজের সময় বাদে ফুলটাইম রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ইউনিয়ন বাসির সেবা দিয়ে থাকেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম বুলি বলেন,আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে অসহায় দুঃস্থদের সেবা করতে হয়।মায়ের মৃত্যুর পর তার সেই আদর্শ আমি লালনপালন করি।সাধারণ মানুষের কল্যানে কাজ করি।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে তৃণমূলে কাজ করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবে নাভারন ইউনিয়নকে সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত, সন্ত্রাশমুক্ত, জঙ্গিমুক্ত একটি ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে নেত্রীকে উপহার দেবো,ইনশাআল্লাহ।